হিজড়া সম্প্রদায়ের চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ জগন্নাথপুরবাসী

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
হিজড়া সম্প্রদায়ের চাঁদাবাজি আর  দৌরাত্ম্যে সাম্প্রতিক সময়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জগন্নাথপুরবাসী।বিশেষ করে সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলা ও পৌরসভা কেন্দ্রীক   জগন্নাথপুর বাজার,  হাসপাতাল পয়েন্ট (শান্তিনগর বাজার) ও উপজেলার  কলকলিয়া পয়েন্ট  গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় জগন্নাথপুর -সিলেট ও জগন্নাথপুর সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অসংখ্য যাত্রী সাধারণ ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বর যাত্রীগন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। অশালীন অাচরণ ও বিভিন্ন অপকৌশলে হিজড়া সম্প্রদায়  অসহায় যাত্রী ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। প্রতিদিন সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বর যাত্রীগনকে বিপাকে পড়তে হয়।বর যাত্রী ও বরের গাড়ীকে কেন্দ্র করে তারা চাঁদা আদায় করে। তাঁদেরকে টাকা না দিলে রাস্তা আটক করে দেয়। এমনকি বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করার পাশা-পাশি  দুর্ব্যবহার এবং জোরপূর্বক টাকা অাদায় করে নিয়ে যায়। এতে  অসহায় হয়ে মান-সম্মানের ভয়ে টাকা দিয়ে ইজ্জত বাঁচিয়ে যান যাত্রীগন। মনের মধ্যে হাজারো ক্ষোভ থাকলেও যাত্রীদের কিছু করার থাকে না।
.শুক্রবার (২২ শে সেপ্টেম্বর ) দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আক্তাপাড়া গ্রাম নিবাসী  আকবর আলীর (ছদ্মনাম)  বিয়ে ছিল। বরযাত্রী নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার শায়েক কমিনিউটি সেন্টারে যাওয়ার সময় জগন্নাথপুর -পাগলা সড়কের কলকলিয়া পয়েন্ট এলাকায়  হিজড়ারা বরযাত্রীর গাড়ীবহর আটকে রেখে ২হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের কথা মতো এক হাজার টাকা প্রদান করেন বরপক্ষ। তখন তারা ৫হাজার টাকা দাবি করে বসে। আর টাকা না দিতে পারলে বরের গাড়ী যেতে দিবেনা বলে হিজড়ারা হুমকি দেয়। নতুবা গাড়ী নিয়ে যেতে হলে তাদেরকে মেরে নিতে হবে বলে ঘোষনা দেয়। পরে বরপক্ষ ১২শত টাকা দিলে গাড়ীবহর ছেড়ে দেয়।
.জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ সিলেটী বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় বসবাসকারী এই সকল হিজড়া কেবলমাত্র বরযাত্রীর গাড়ী ও যাত্রীবাহী গাড়ীতে চাঁদাবাজি করে কান্ত নয়। ওরা পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লা ও হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত  অবাদে চাঁদাবাজি করছে। প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুরের সহজ-সরল মানুষ মান-ইজ্জতের ভয়ে হিজড়াদের চাঁদা দিচ্ছেন। বিদায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভূক্তভোগী জনসাধারণ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment